1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জামালপুরে ১৭টি হারানো মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে পুলিশ বোরহানউদ্দিনে ওয়াশ মার্কেট সিস্টেম উন্নয়ন বিষয়ক সভা উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে ৭ জানুয়ারি ভোটের সফলতা ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি ‘অনুমতি মিললে ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব’ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নতুন নির্দেশনা দিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি পুলিশের পক্ষ থেকে বোরহানউদ্দিনে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বোরহানউদ্দিনে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎসচিব আগামী বছর থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নেয়া হবে ৭০ শতাংশ হজযাত্রী: ধর্মমন্ত্রী

নদী থেকে নুড়ি পাথর তুলে জীবিকা নির্বাহ

মোঃ নাইমুর রহমান, শেরপুর
  • আপডেট : শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়া পাড়া ইউনিয়নের পানিহাটা তারানি এলাকায় ভোগাই নদীতে থেকে নুড়ি পাথর তুলে জীবিকা নির্বাহ করছে একদল অভাবী মানুষ।

এ অঞ্চলে বেশকিছু পাথর শ্রমিক তাদের জীবিকার তাগিদে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর ঠান্ডা পানিতে বালি গর্ত করে নুড়ি পাথর তুলেন। প্রচন্ড শীতেও জীবিকার তাগিদে তাদের বাধ্য হয়ে নামতে হয় শীতল পানিতে। সারাদিনের উত্তোলিত পাথর মহাজনের কাছে বিক্রি করে চলে সংসার। এ যেন বরফ জলে জীবিকার লড়াই।

ভারত-বাংলাদেশের দুই সীমান্তের বুক চিরে প্রবাহিত ভোগাই নদীতে এখানকার শ্রমিকের জীবিকার ভান্ডার। কেউ কেউ আর্শিবাদও মনে করেন ভোগাই নদীকে। প্রতিদিন শত শত সিএফটি নুড়ি পাথর তোলা হচ্ছে এ নদী থেকে। ভোর সকালে বরফগলা ঠান্ডা পানিতেই শ্রমিকরা প্রতিদিন দল বেঁধে নদীতে আসে। সঙ্গে থাকে লোহার জাকলা, চালুনি ঝুড়ি ও কোদাল। দিনভর চলে পাথর উত্তোলন। সে পাথর সংগ্রহ করে নদীর কিনারে এনে সেখান থেকে নদী তীরে স্তুপ করে রাখা হয়। সারা দিনে একজন শ্রমিক গড়ে ২০-২৫ সিএফটি পাথর তুলতে পারেন। কখনো কম হয়। সন্ধ্যায় মহাজনের কাছে বিক্রি করে গড়ে হাতে পান তিনশো থেকে চারশো টাকা।

তারা প্রথমে নদীর বালু চড়ে গর্ত করে। সেখানে বালু মিশ্রিত পাথর প্রথমে জালিতে তুলে ও জলে ছেঁকে বালু থেকে আলাদা করে স্তুপ করে রাখে। পরে তা ট্রলিতে লোড করে স্থানীয় পাথর মহাজনদের কাছে বিক্রি করেন। এই নুড়ি পাথর স্থানীয় বাজারে সিমেন্টের খুটি, ঘরের মেঝে পাকা করতে ব্যবহার করা হয়। ভোগাইয়ের এই পাথরের সাথে মিশে গেছেন নারীরাও। তারাও খুঁজে নিয়েছেন নতুন কর্মসংস্থান। ভোর হলেই গৃহের কাজকর্ম সেরে স্বামী সন্তানদের খাইয়ে বের হয়ে যান কাজে। সারাদিন কঠোর খাটুনি শেষে এসব নারী শ্রমিকের আঁচলে আসে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার উৎস।

তারানী গ্রামের মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আমগর কোন জমি নাই, সরকারী খাস জমিতে থাহি। স্বামী কামাল হোসেনরে নিয়া সারাদিন নুড়ি পাত্তর তুলি। এই দিয়ে আমগর সংসার চলে কোনো মতে। এর মধ্যে দুইডা সন্তান তাদেরও পড়া লেহার খরচ করুন লাগে। বড় ছেলেডা নাইনে ও মেয়েডা সিক্সে পড়ালেহা করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভাই এই ভোগাই নদীডাই আমাগরে বাঁচাই রাখছে। পানিখানা বরফের মতো ঠান্ডা ভাই। কাম না করলে খামু কী।’

তারানী গ্রামের ইব্রাহিম খলিল নামের আরেক শ্রমিক জানান, ঘরে স্ত্রীসহ পাঁচ ছেলেমেয়ে। বড় মেয়ে ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করে। সন্তানের পড়া-লেখা ও ভরণপোষণ চলে এই পাথর জীবিকার ওপর। দিনভর দলের সঙ্গে ঠান্ডা পানিতে পাথর তুলে তা বিক্রি করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করেন। এত ঠান্ডা পানিতে কাজ করছেন, অসুখ হয় না? প্রশ্ন করলে মনির নামের আরেক শ্রমিক জানান, ‘হ্যাঁ ভাই, সর্দি-জ্বর তো হয়ই। কয়দিন জ্বরে পড়ে ছিলাম। কাজ না করে উপায় নাই।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি