1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৬ অপরাহ্ন

চাঁদার টাকা ভাগাভাগি দ্বন্দ্বে খুন হন শরিফ, দাবি পিবিআইয়ের

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে শরিফ চৌধুরী ওরফে শান্ত (২১) খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন-মহানগরীর জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শান্ত ইসলাম (২০), সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ভাটিপাড়া এলাকার কেরামত আলীর ছেলে আরিফুজ্জামান আরিফ (২২) ও তারাকান্দা উপজেলার নুর মোহাম্মদের ছেলে রাকিবুল হাসান তপু (২৫)।

নগরীর চরপাড়া এলাকার ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান থেকে সাপ্তাহিক চাঁদার টাকা ভাগাভাগি দ্বন্দ্বে শরিফ খুন হন বলে জানিয়েছে পিবিআই।

দুপুরে জেলা পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিহত শরিফ চৌধুরী শান্ত এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সবাই সম্পর্কে বন্ধু ছিলেন। তারা নগরীর চরপাড়া এলাকায় একসঙ্গে ওই এলাকার ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা তুলতেন। সম্প্রতি শরিফ আলাদা গ্রুপ করে চাঁদার টাকা তোলা শুরু করেন। গ্রেফতাররা অনেক বুঝিয়ে তাকে তাদের গ্রুপে আসতে বলেন এবং চাঁদার টাকা ভাগাভাগি করে নিতে বলেন। এতে শরিফ অস্বীকৃতি জানান। এ ক্ষোভ থেকে তারা তিনজনসহ মোট পাঁচজন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পলা অনুযায়ী বুধবার (৬ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে মন্ডল প্লাজা চরপাড়া চৌধুরী ক্লিনিকের গলিতে তারা ওতপেতে থাকেন। পরে শরিফ আসতেই তাকে উপর্যুপরি ১৮ বার বুকে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে ফেলে চলে যান। তবে মৃত্যু নিশ্চিত হতে তারা আবার ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তাকে মৃৃত পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা শরিফকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পিবিআই আরও জানায়, গ্রেফতার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে আসামি আরিফুজ্জামান আরিফের দেওয়া তথ্যানুযায়ী পরানগঞ্জ ভাটিপাড়ায় নিজ বাড়ির পেছন থেকে খড়ের স্তূপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

তবে নিহত শরিফের বাবা শহীদ চৌধুরীর দাবি, তার ছেলে ও গ্রেফতার তিনজনই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে, তাদের দলীয় কোনো পদ ছিল না। অল্প কিছুদিনের মধ্যে শরিফের যুবলীগের পদ পাওয়ার কথা ছিল। পদ নিয়ে দ্বন্দ্বেই তাকে খুন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাসেল পাঠান বলেন, শরিফ চৌধুরী নামের কেউ যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আমি ওই ছেলেকে চিনিও না।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে নিহত শরিফের বাবা শহীদ মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা মামলা করেন।

শরিফ চৌধুরী ওরফে শান্ত জেলার গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গুয়া এলাকার শহীদ মিয়ার ছেলে। তবে বাবার ক্লিনিক ব্যবসার সুবাদে নগরীর চরপাড়া এলাকাতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি