1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৯ অপরাহ্ন

৯ লাখ টাকার ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি পেলেন কৃষক

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২

অবশেষে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি পেলেন কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের দেয়া চূড়ান্ত নিষ্পত্তি বিলের ১ হাজার ২৪টাকা জনতা ব্যাংক লিমিটেড গৌরীপুর শাখার ব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আহমেদ রাসেলের নিকট জমা দেন।

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিদ্যুৎ বিভাগকে নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করেন। কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের বেকারকান্দা গ্রামের মৃত মীর হোসেনের পুত্র কৃষক মো. সাইফুল ইসলামকে ১ হাজার ২৪ টাকার বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা হয়। ফলে এ কৃষক ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫০৯ টাকার ভৌতিক বিল থেকে মুক্তি পান।

গৌরীপুরে আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, কৃষকের অব্যবহৃত মিটারটিতে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তাকে বিদ্যুৎ ডিমান্ডচার্জ হিসেবে ১ হাজার ২৪ টাকার চূড়ান্ত বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে। তিনি ইচ্ছে করলে আবেদনের মাধ্যমে এ বিদ্যুৎ লাইন চূড়ান্তভাবে বিচ্ছিন্ন করতে পারবেন।

সরেজমিন ও কাগজপত্রে দেখা যায়, সাইফুল ইসলাম নিজের জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য একটি সেচ লাইন সংযোগ নেন। তার সেচ মিটার নং ই-২৮৬৯৪০, গ্রাহক নং ৭৫৭৪৪৫৩৮, হিসাব নং ৩১৩/৪২৯৪। ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৩৫ হাজার ২৪ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন তৎকালীন আবাসিক প্রকৌশলী মো. তহুর উদ্দিন। ময়মনসিংহের বিদ্যুৎ আদালতে মামলাও করেন।

এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুল ইসলাম বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া ২৩ হাজার ২০০ ইউনিটের বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের ৩৫ হাজার ২৪ টাকা ৪ মার্চ এবং আদালতের ধার্য্যকৃত জরিমানা ১ হাজার ৮ টাকা ও বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্নের জন্য ৬০০ টাকা ঐ বছরের ১১ মার্চ জমা দেন। যদিও তিনি এ সময় পর্যন্ত ব্যবহার করেছিলেন ২২ হাজার ৫০৪ ইউনিট বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও ৭৯৫ ইউনিট বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল প্রদানে বাধ্য হন এই কৃষক। এরপর থেকেই ঐ বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন। মিটারটি তারবিহীন অবস্থায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলতে দেখা গেছে ।

এ ঘটনার প্রায় দুই বছর পর ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে মৃত এই মিটারে আবার বিল আসতে শুরু করে। এপ্রিল মাসে ২২ হাজার ২৫০ টাকা, মে মাসে ২ হাজার ৬৮৪ টাকা, জুন মাসে ২ হাজার ৬৮৪ টাকা, জুলাই মাসে ৪ লাখ ১৬ হাজার ১৮৭ টাকা, আগস্টে ২৩ হাজার ৩৫৯ টাকা, সেপ্টেম্বরে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৮ টাকা, অক্টোবরে ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৯ টাকা, নভেম্বরে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৩৯ টাকা এবং ডিসেম্বর মাসে ১ হাজার ৭২৪ টাকা বিল আসে। এ বিল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন এবার কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, এ দপ্তর এর আগেও উপজেলার ২ নম্বর গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের মুদি দোকানি মো. হেলাল উদ্দিনকে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৩২৭ টাকার বিদ্যুৎ বিল প্রদান করে। এ ঘটনা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হলে তদন্ত আর নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ মুদি দোকানি রেহাই পান।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি