নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার ওই প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জামানাত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- বড়তলী-বানিহারী ইউপিতে মাসুদ রানা (টেলিফোন), মো. আব্দুল মোতালিব (আনারস) ও মো. হাসিম উদ্দিন (দুটি পাতা); মাঘান শিয়াধার ইউপিতে মির্জা শামছুল আলম (চশমা), মো. জহিরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) ও মো. নজরুল ইসলাম খান (ঘোড়া); গাগলাজুর ইউপিতে মাসুদ আহম্মেদ (চশমা), মো. লিটন তালুকদার (আনারস) ও সুয়াইর ইউপিতে জহিরুল হক চৌধুরী (আনারস)।
নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, যেসব প্রার্থী মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাবেন না তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। উপজেলার সাত ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মোট ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে কম ভোট পাওয়ায় ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপিতে মোট ভোটের সংখ্যা ১১ হাজার ২৫৯ টি। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদ রানা (টেলিফোন) পেয়েছেন মাত্র ১৭০ ভোট। একই ইউপিতে মো. আব্দুল মোতালিব (আনারস) পেয়েছেন ২০৫ ভোট ও মো. হাসিম উদ্দিন (দুটি পাতা) পেয়েছেন ১ হাজার ১৯৪ ভোট।
মাঘান শিয়াধার ইউপিতে মোট ভোটের সংখ্যা ১৩ হাজার ২১ টি। এতে মির্জা শামছুল আলম (চশমা) পেয়েছেন ৮২৯ ভোট। একই ইউপিতে মো. জহিরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩২৭ ভোট ও মো. নজরুল ইসলাম খান (ঘোড়া) পেয়েছেন ৯৬০ ভোট।
গাগলাজুর ইউপিতে মোট ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৪৮ টি। এতে মাসুদ আহম্মেদ (চশমা) পেয়েছেন ১১৭৩ ভোট ও মো. লিটন তালুকদার (আনারস) পেয়েছেন ৮৩১ ভোট। এ ছাড়া সুয়াইর ইউপিতে মোট ভোটের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৩ টি। ওই ইউপিতে জহিরুল হক চৌধুরী (আনারস) পেয়েছেন ১ হাজার ১৬৩ ভোট।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন বিধি অনুযায়ী কাস্টিং ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট না পেলে সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। হিসেব অনুযায়ী ওই প্রার্থীরা কাস্টিং ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট পাননি। এতে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের ৭ ইউনিয়নে গতকাল রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে মোট ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৭ ইউপির ৬৮টি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪০ জন। নির্বাচনে কাস্টিং মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৮২ হাজার ৬২৪ টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৭৯১ টি।