ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ চার মাসে ৩০টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছে। চুরি বা ছিনতাই হওয়া এসব মোবাইল উদ্ধার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পুলিশ এ ধরনের দায়িত্ব আরও ভালোভাবে পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চার মাসে ৩০ টিরও বেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে অধিকাংশ মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই আমীর হামজা। সম্প্রতি সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম জীবনের মোবাইল ফোনটি চরপাড়া থেকে চুরি হয়ে যায়। পরে তিনি ওই দিনই কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি করার পর প্রযুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পরে উদ্ধার করা হয় ফোনটি।
চরকালীবাড়ি এলাকার মাইনুল ইসলাম তাঁর হারানো মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে বলেন, কখনো চিন্তাও করতে পারিনি যে, চুরি হওয়া মোবাইল ফোন এভাবে পুলিশ ফেরত দিতে পারবে। আমার হারানো মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ আমার হাতে বুঝিয়ে দিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর এ ধরনের কাজের জন্য সাধুবাদ জানান তিনি।
সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম জীবন বলেন, মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার পর অনেক দিন হয়ে গেলে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এখন মোবাইল ফোন পেয়ে ভালো লাগছে। পুলিশের এমন কাজ প্রশংসনীয়। তবে অনেকে মোবাইল না পেয়ে হতাশ হন। পুলিশ এদিকে আরেকটু দায়িত্বশীল হলে ভুক্তভোগী মানুষ আরও উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই আমির হামজা বলেন, ‘চাকরি নেওয়ার সময়ই শপথ করেছি, দেশ ও মানুষের জানমাল রক্ষা করার। তাই আমি আমার জায়গা থেকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, আগের চেয়ে বর্তমানে পুলিশ বাহিনী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে অনেক বিষয়ে সফলতা পেয়েছে। যে কোনো ধরনের অপরাধ দমন ও মানুষের আইনি সেবা প্রদানে সর্বদা সোচ্চার রয়েছে পুলিশ। এই মোবাইল ফোনগুলো তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দিয়ে থাকি। এখন থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেই ধরা পড়ে যাবে।