1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন

ভালুকায় শিক্ষা অফিসের সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১

ময়মনসিংহের ভালুকায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়মের ব্যাপারে একাধিক ভুক্তভোগী স্থানীয় প্রসাশন ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী মোকছেদুল আলম প্রায় ১৫ বছর ধরে এ উপজেলায় কর্মরত আছেন। আর এই দীর্ঘ সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরী করেছেন। সিন্ডিকেটের সহযোগীতায় সরকারী বই বিক্রি ও শিক্ষকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে বিভিন্ন কৌশলে অর্থ আদায়সহ স্বেচ্ছাচারিতা করে চলেছেন।

২০১৫ সালে রাতের আঁধারে সরকারী বই বিক্রিকালে পুলিশ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা থেকে বইভর্তি দু’টি ট্রাক আটক করে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন পেশ করার পর তাৎক্ষনিক শাস্তি হিসেবে মোকসেদুল আলমকে দুই ট্রাক বইয়ের মূল্য এক লাখ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান ও পাঠ্যপুস্তক বিতরণে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু চলতি বছর তিনি রহস্যজনক ভাবে আবারো বই বিতরণ কাজে অংশগ্রহণ করেন।

অভিযোগ রয়েছে, অফিস সহকারী মোকসেছুল আলম চলমান মহামারিতে ননএমপিও শিক্ষকদের প্রণোদনা প্রদানের নামে বেনামে ইচ্ছেমতো তালিকা তৈরী করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করেছেন। এছাড়া তিনি বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বিজয় ফুল, ম্যানেজিং কমিটি গঠন, এমপিওকরণ, সৃজনশীল মেধা অন্মেশন প্রতিযোগীতা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপনসহ বিভিন্ন সরকারী বরাদ্দে সিংহভাগ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নিবন্ধনের জাল সনদ বিক্রি, গ্রন্থাগারিক জাল সনদ, নিবন্ধন পরীক্ষায় নির্বাচিত করার আশ্বাসে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে।

তাছাড়া বই বিতরণকালে প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগও রয়েছে। ২০১৯ সনের ৪৭ ও ৪৮ তম শীত ও গ্রীস্মকালীন খেলাধুলার সার্বিক ব্যয় বাবদ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা প্রদান করা হলেও মোকসেদুল আলম ক্রয় কমিটির কাছে আদৌ টাকার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, ২০০৮ সালের শেষ দিকে তৎকালীন অফিস সহায়ক জালাল উদ্দিন মারা যান। মৃত্যুর পর থেকে জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানকে আর্থিক সাহায্যের নামে প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন উত্তোলনের সময় ১০০ টাকা করে আদায়ের পর চার মাস জালাল উদ্দিনের স্ত্রীর কাছে দেয়া হলেও গত ৮ বছর ধরে উক্ত টাকা উত্তোলন করা হলেও ওই অসহায় নারীকে না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অফিস সহকারী মোকসেদুল আলমের বদলীসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মো. জমশের আলী নামে এক ভুক্তভোগী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভালুকা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী মোকছেদুল আলম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। একটি মহল আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

ভালুকা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, মোকছেদুল আলমের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত ভাবে উপর মহলে জানানো হয়েছে। আশা করছি তদন্তমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি