কিশোরগঞ্জ সদরের কৃষক বাচ্চু মিয়া হত্যা মামলায় জসিম উদ্দিন নামে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক নার্গিস ইসলাম এ রায় দেন। একই সঙ্গে মামলার অন্য চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জসিম সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের মনকর্শা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
রায়ের সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জসিমসহ অন্য তিন আসামি উপস্থিত ছিল। এ মামলার আরেক আসামি কামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার কৃষক বাচ্চু মিয়া ও জসিমরা একই বংশের লোক। পুকুরে মাছ ছাড়া ও ধরা নিয়ে তাদের মধ্যে একবার সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়। এতে জসিমসহ তার ভাইয়েরা আসামি ছিলেন। ঘটনার ১৫/২০দিন আগে তারা জামিনে বের হয়ে আসে। এরপর ২০০৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে জসিম , তার তিন ভাই ও কয়েকজন আত্মীয় মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনাকর্শা নতুন বাজারে হামলা চালায় কৃষক বাচ্চু মিয়ার ওপর। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় ওই দিনই ৬জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামরা করেন নিহতের ছোটভাই হারুন অর রশিদ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় জসিমের অন্য তিন ভাই ও আরেকজনকে বেকসুর খালাস দেন। তারা হলেন, সমির উদ্দিন, জামাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন। মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি রাখাল চন্দ্র দে এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ।