1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব নোয়াখালীতে এক হাজারের বেশি শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল জোবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কে’র দায়িত্ব পেলেন শহীদ গণহারে বদলি আদেশের পর শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট

স্বামীর দেওয়া গরম তেলে দগ্ধ স্বর্ণাকে বাঁচানো গেল না

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

যৌতুকের কারণে স্বামীর দেওয়া গরম তেলে ঝলসে যাওয়া সেই গৃহবধূ স্বর্ণা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ দিন পর মারা গেছেন। আজ বুধবার ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের মা শিরিন বেগম।

নিহত গৃহবধূ স্বর্ণা সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা বাজার এলাকার সেজনু মিয়ার (৪০) স্ত্রী। শরীর ঝলসে দেওয়ার ৫ দিন পর স্বর্ণার মা শিরিন বেগম বাদী হয়ে ঢাকা সাভার থানায় মামলা করলেও আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই তার জামাই সেজনু মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিল। এ ব্যাপারে এর পূর্বে আদালতে মামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা করে মেয়েকে জামাইয়ের কাছে পাঠানো হয়। পুনরায় তাকে নির্যাতন শুরু করা হলে স্বর্ণা বেগম বাধ্য হয়ে সাভারের জিরানী এলাকায় গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। মেয়ের ভাড়া বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেজনু মিয়া সেখানে যান। তারপর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি তার স্ত্রীর শরীরে গরম তেল ঢেলে দেন। এতে তার পুরো শরীর ঝলসে যায়। স্বামী সেজনু রাতেই তাকে জিরানী থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পর দিন ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হলে সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসার পর আজ বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘাতক স্বামী সেজনু মিয়ার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি