1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন

ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রীর বিষপানে আত্মহত্যা

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

‘বাবা মা ভাই বোনরা তোমরা আমাকে কমা করে দিও। বাবা তুমি এরা বাড়ির বাচ্চুর ছেরা জহিরুলেরে কমা করিও না। এ আমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়ে চলে গেছে। আমি এত বড় পাপ নিয়ে বাচে থাকতে পারব না। ভালো থেকো বাবা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, বাবা আমার বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু ও আমাকে বেঁচে থাকতে দিল না’। পরিবারের উদ্দেশে চিরিকুট লিখে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে মীম আক্তার (১৪) নামের স্কুলছাত্রী।

ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের তেলুয়ারী গ্রামে। মীম আক্তার ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় আঠারবাড়ী এমসি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার নিহত মীম আক্তারের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তেলুয়ারী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে জহিরুল মিয়ার (১৯) নামে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার সময় পরিবারের অগোচরে বিষপান করে টয়লেটের পাশে পড়ে ছিল মীম। পরে মীম আক্তারের মা নেহেরা আক্তার তাকে দেখতে পান। মীমের বাবা সাইফুল ইসলামকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক তাকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। মীমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে মারা যায় সে। গত শুক্রবার মমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার সকালে তেলুয়ারী গ্রামের নিজ বাড়িতে মীমকে দাফন করা হয়।

মেয়ের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে মীমের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবার ও আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি, জহিরুল ও মীমের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সম্পর্কের অবনতির কারণে আমার মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। যা চিরকুটে লিখে গেছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘লোকমুখে শুনেছি, মীম আক্তার ও জহিরুলের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পাশাপাশি বাড়ি থাকায় তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ছেলেটা প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করলে মেয়েটা বিষপানে আত্মহত্যা করে।’

এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত জহিরুল মিয়া পলাতক রয়েছে। এ ছাড়া তার মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘এ-সংক্রান্তে অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি