ময়মনসিংহের ভালুকায় চলন্ত বাসে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে ভালুকা মডেল থানায় কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এর আগে, রবিবার (১৫ আগস্ট) রাতে ওই ময়মনসিংহের চুরখাই এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভালুকজান গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে গাড়ির হেলপার আবদুর রহিম (২৪), একই উপজেলার কালাদহ গ্রামের হাসান আলীর ছেলে চালক মামুন মিয়া (২৪) এবং ময়মনসিংহের চুরখাই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে সহযোগী আশরাফুল ইসলামকে (২৭) আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ই আগস্ট রাত ৯টার দিকে ভালুকা সিডষ্টোর বাজার থেকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে মায়ের দোয়া নামক একটি যাত্রীবাহী বাসে তুলে। পরবর্তীতে ওই কিশোরীকে নিয়ে বাসটি ময়মনসিংহ চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের একটি গ্যারেজের পাশে রাত ১০টার দিকে বাসটি থামিয়ে বাসের ভিতরে আবদুর রহিম ও মামুন মিয়া ও আশরাফুল ইসলাম সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় আবদুর রহিম ওই মেয়েটিকে তাদের ভাড়া বাড়ীতে পৌছে দেয়। পরবর্তীতে ওই কিশোরীর বড় বোন ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেফতার এবং বাসটি জব্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে আবদুর রহিম ও মামুন মিয়া ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করে। মামলা হওয়ার পর আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করি। ২ জন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেসনিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে ।