করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকেই কিশোরগঞ্জে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানপাট। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা রয়েছে। সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছোট আকারের যানবাহন চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লকডাউনের কারণে শহরে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অনেকটা কম। সড়কে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। পাশাপাশি কাজ করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বেরোলেই পড়ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জেরার মুখে। প্রয়োজনে নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট ১৮টি কোর্টে ১৫১ টি মামলায় ৭৮০০০/- অর্থদণ্ড করা হয়। তন্মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ মোট ৬টি কোর্টে ৬৪টি মামলায় ২৫,৮০০/- অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) জানান, জেলা শহরে ২০টি এবং অন্য ১২টি উপজেলায় ৩৩টি পয়েন্টে পুলিশের ৫০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবগুলো ইউনিটসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবের দল মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, চলমান বিধিনিষেধে ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিন প্লাটুন সেনা সদস্য, দুই প্লাটুন বিজিবি, ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ সদস্য, র্যাব ও আনসার সম্মিলিতভাবে কাজ করেছেন।
সর্বোপরি জনগণের সচেতনতার কারণে খুব সহজ ও শান্তিপূর্ণভাবে লকডাউনের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে।