1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন

বারহাট্টায় ২০ গ্রামের মানুষের নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা সাঁকো

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউডিনয়নের কাউনাই নদী পারাপারে এলাকার ২০ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা গুড়ল সাঁকো। এখানে সেতু নির্মাণের জন্য দেশের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ৫০ বছরে বহু আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। মানুষের কষ্ট দূর করতে কেউ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

জানা যায়, কাউনাই নদীতে সারাবছরই কম-বেশি পানি থাকে। হেমন্তে অবসাদগ্রস্ত দেখালেও বর্ষায় প্রমত্ত হয়ে ওঠে কাউনাই। সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বৃদ্ধ নারী-পুরুষ ও শিশুরা বিপাকে পড়ে। শিশ শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে পারে না। ফলে মূল্য কম পায়।

আজ শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলা সদর-মনাষ সড়কের ছয়গাঁও থেকে অন্য একটি সড়ক গুড়ল গ্রাম হয়ে হাজীগঞ্জের নিকট নেত্রকোণা-কলমাকান্দা সড়কের সাথে মিশেছে। কাউনাই নদী গুড়ল ও ছয়গাঁওয়ের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত। ছয়গাঁও-হাজীগঞ্জ সড়কের কাউনাই নদীর ওপর প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো বিদ্যমান। এই সাঁকো দিয়েই মানুষ অতিকষ্টে নদী পারপার হচ্ছে।

গুড়ল গ্রামের বাসিন্দা আবু সাদেক খান (৫৭) বলেন, নদীর পশ্চিমপাড় এলাকায় অবস্থিত গুড়ল, বড় ভিটা, হাওতলা, গাভারকান্দা প্রভৃতি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ উপজেলা সদরের সাথে শতবছর ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। উপজেলা সদর ও বিভিন্ন হাটবাজারে আসা-যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ১ হাজার মানুষ কাউনাই নদী পার হয়। এজন্য গুড়ল সাঁকোই একমাত্র উপায়। সেতু নির্মাণের জন্য চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী সবার কাছেই সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সেতু হয় নাই।

উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. সম্রাট খান (৩৪), নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সালেহীন (১৪), চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মোমিন (৯) বলেন, এলাকায় অনেক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা আছে। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী সাঁকো দিয়ে এই নদী পারাপার হয়। দুর্ঘটনায় অনেকেই বই-খাতা হারায়।

ছয়গাঁও গ্রামের নজরুল (৫২) বলেন, কাউনাই নদীর পূর্ব পাড় এলাকার ছয়গাঁও, মনাষ, উজানগাঁও প্রভৃতি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ গুড়ল সাঁকো ব্যবহার করে। অনেকেরই জমাজমি নদীর পশ্চিমপাড় এলাকায়। সেতু না থাকায় ফসল আনা যায় না। ক্ষেতেই কমমূল্যে বিক্রয় করে আসতে হয়।

এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার আজাদ বলেন, কাউনাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কাউনাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের ‘গ্রাম হবে শহর’ এই শ্লোগান বাস্তবায়নে কাজ করছি। উপজেলা সমম্বয় কমিটির সভায় কাউনাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত কাউনাই নদীর উপর সেতু নির্মাণ ও ওই এলাকার মানুষের দূর্দশার লাঘব হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি