1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন

৮২০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক হারুলিয়া মসজিদ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা নেত্রকোনা। এখানে রয়েছে বহু শতাব্দীর পুরান অসংখ্য মুসলিম স্থাপত্য। এসব প্রাচীন স্থাপত্যের মধ্যে রয়েছে ৮২০ বছরের পুরানো নেত্রকোনার হারুলিয়া মসজিদ। মোগল আমলে নির্মিত এ সুপ্রাচীন মসজিদ ইসলামী ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।

মসজিদটি নেত্রকোনার কেন্দুয়ার মোজাফ্ফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামে অবস্থিত।

জানা যায়, মোগল শাসন আমলে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর অত্যন্ত স্নেহভাজন ও অনুসারী শাইখ মোহাম্মদ ইয়ার নামের এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। মাত্র সাত শতাংশ ভূমির ওপর নির্মিত মসজিদটির চার কোণায় চারটি পিলার রয়েছে।

চৌকোণ বিশিষ্ট মসজিদটির ছাদজুড়ে একটি বিশালাকার গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে তিনটি লম্বাটে দরগা এবং সামনের অংশে ছোট একটি চৌচালা টিনের ঘর।

ধারণা করা হচ্ছে, জায়গা কম থাকায় মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে এ চৌচালা ঘর নির্মিত হয়েছে। নির্মাণশৈলী ও অবকাঠামো দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, পোড়ামাটি, চুন, চিনি, চিটাগুড়, কস ও এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে এ প্রাচীন মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। এছাড়া মসজিদটির সামনে রয়েছে বিশালাকার জালিয়ার হাওর।

এলাকার প্রবীণরা জানান, মোগল আমলে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর শাসনকালে এ মসজিদ নির্মিত হয়েছে। উপমহাদেশে তৎকালীন সময় নির্মিত আটটি মসজিদের মধ্যে এটি একটি।

এলাকাবাসী এটিকে হারুলিয়া দক্ষিণপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ বলে চেনে। আবার গাইনের মসজিদ বলেও একে চেনেন অনেকে। অনেকের ধারণা, মসজিদটি গাইন সম্প্রদায়ের লোকেরা নির্মাণ করেছিলেন।

এলাকাবাসী জানায়, কয়েক বছর আগে রাতের আঁধারে মসজিদের ভেতর থেকে ফার্সিতে লেখাযুক্ত মূল্যবান ছয়-সাত কেজির কষ্টি পাথর চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তখন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন, কিন্তু সে পাথর আজও উদ্ধার করা যায়নি।

তবে অযত্ন আর অবহেলায় ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হতে চলেছে ৮২০ বছরের পুরনো এ মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন। সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে তার জৌলুস হারিয়ে ক্রমশ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।

দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে হারুলিয়া গ্রামের ঐতিহাসিক প্রাচীন এ জামে মসজিদ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি