1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

আশ্রয়ণে বিধবার ঘরে মেম্বারের তালা, খুলে দিলেন এসিল্যান্ড

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১ মে, ২০২১

ত্রিশ হাজার টাকা না দেওয়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি ঘরের বাসিন্দা বিধবাকে বের করে তালা লাগিয়ে দেয় স্থানীয় মেম্বার। আজ শনিবার সকালে সহকারী কমিশনার ভূমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে গ্রাম পুলিশ দিয়ে ওই ঘরের তালা খুলে দেন। পরে বরাদ্দকৃত ১০টি ঘর থেকে লটারির মাধ্যমে ওই বিধবাকে একটি ঘর বুঝিয়ে দেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন ওই ঘরগুলোর অবস্থান নান্দাইল সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে নান্দাইল ত্রিশাল সড়কের বালিপাড়া সেতুর নিচে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে। গত ১৪ জানুয়ারি ১০টি ঘর নির্মাণ শেষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয় জমির দলিলপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়ে। সেখানে ১নং খতিয়ানের ২০৬৯ দাগে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট একটি সেমি পাকা ঘর বরাদ্দ পান মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী মোছাম্মৎ আনুয়ারা খাতুন। এক মেয়ে নাতি নিয়ে তিনি ঘরে প্রবেশ করে বসবাস শুরু করেন।

তিনি জানান, ঘরে প্রবেশের পর স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মেম্বার বাদল হোসাইন তাঁর অনুমতি ছাড়া কেন ঘরে প্রবেশ করলেন তার জবাব চেয়ে ঘর থেকে বের হতে বলেন। এ অবস্থায় তিনি অনুনয়-বিনয় করে তাকে (মেম্বার) না জানানো ভুল হয়েছে বললেও কোনো কথা শুনেননি।

এক পর্যায়ে মেম্বার তাঁর কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার ওই বিধবা ঘর থেকে বের হয়ে কাজের সন্ধানে গেলে ফিরে এসে দেখেন ঘরে তালার ওপরে আরেক তালা। জানতে পারেন মেম্বার বাদল হোসাইন এ তালা লাগিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ওই দিন বাদল মেম্বার প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া ঘরে তালা লাগানোর কথা স্বীকার করলেও টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এই ঘরটি আমার এক লোকের জন্য বরাদ্দকৃত। সে জোর করে উঠে গেছে। তাই তালা লাগিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া বরাদ্দ পাওয়া ঘরের মালিক আনুয়ারা একজন গাঁজা ব্যবসায়ী ও এলাকার খারাপ নারী।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজুল হককে পাঠিয়ে তালা খোলাসহ ঘরে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজুল হক বলেন, মেম্বার যে তালা লাগিয়েছিলেন তার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে মেম্বারের কাছ থেকে চাবি এনে গ্রাম পুলিশ দিয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় লটারির মাধ্যমে নতুন ঘর পেয়েছে আনুয়ারা। এখন থেকে সেই ঘরেই থাকবেন তিনি। মেম্বারের এই বেআইনি কাজের জন্য কিছু করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি অন্যায় করেছেন। এর জন্য তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনুয়ারা বলেন, সব ঘরই সমান। আমার একটাতে থাকতে পারলেই হয়। মেম্বার শুধু আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করেছেন। আমাকে অপমান করেছেন। এর বিচার চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি