1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন

‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ’

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিয়ে সাময়িক সমাধান দিতে চায় না। বরং নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য কার্যকর ও স্থায়ী সমাধান চায়, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়। দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এ পদক্ষেপের সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিশ্চিত করা হবে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

এদিন সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউ শুনানির দ্বিতীয় দিন শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে আজ দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে গতকাল বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষে আইনজীবীরা খায়রুল হকের দেওয়া রায়কে বিতর্কিত হিসেবে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানান। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য এর আগে বিএনপি, জামায়তে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তি মিলিয়ে মোট পাঁচটি আবেদন করেন।

২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। পরে গত বছরের অক্টোবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।

এর আগে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এ ছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ কয়েকজন ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে। পরে বিশেষ বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় ঘোষণা করা হয়। সেই রায়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের এই সংশোধনী সংবিধানসম্মত। পাশাপাশি ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করার অনুমতিও দেওয়া হয়।

২০০৮ সালে বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তবে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি