1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

বাঙ্কার বাস্টারেও ধ্বংস হয়নি ইরানের পরমাণু কেন্দ্র

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ)। পেন্টাগনের গোপন বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা স্থায়ী নয়। কেবল ৬ থেকে ৯ মাসের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে।

বুধবার (২৫ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যেই গত সপ্তাহে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে বাঙ্কার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু স্থাপনাগুলো হলো নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান।

হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। তবে পেন্টাগনের এই প্রতিবেদন উঠে এলো নতুন তথ্য। সংস্থাটি জানায়, মাটির নিচে থাকা ইরানের গবেষণা ল্যাব ও সেন্ট্রিফিউজ ইউনিটগুলো আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এগুলোর অধিকাংশই আবার চালু করার মতো অবস্থায় রয়েছে। এ হামলা ইরানের কার্যক্রমে মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার আগেই ইরান তাদের অধিকাংশ ইউরেনিয়াম নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। ফলে স্থায়ী কোনো ক্ষতি হয়নি।

এর আগে গত রোববার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, আমরা জানি না, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বর্তমানে কোথায় রাখা হয়েছে। আমরা আগামী সপ্তাহগুলোতে তা বের করার চেষ্টা করব।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রসি বলেছেন, আমরা ৪০০ কেজি ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের কোনো হিসাব রাখতে পারছি না। অবশ্য মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ দাবি করেন, সফল হামলায় স্থাপনাগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে। তবে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের প্রধান জেনারেল ড্যান কেইন বলেন, তিনটি কেন্দ্রই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, তবে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এমন কথা বলা এখনই সম্ভব নয়। চূড়ান্ত মূল্যায়ন এখনো আসেনি।

এদিকে, ডিআইএর প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার পর হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই তথাকথিত প্রতিবেদন ফাঁস করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমাদের সাহসী পাইলটদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চলছে।

হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করলেও কংগ্রেসে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ডেমোক্র্যাট সিনেটররা বলছেন, কোটি কোটি ডলারের সামরিক অভিযান চালিয়ে যদি কেবল সময় কেনা হয়, তবে এটি সামরিক কৌশলের ব্যর্থতা।

অন্যদিকে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা ভয় পাইনি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা পারমাণবিক প্রকল্প আবার চালু করব। ইরানি কর্মকর্তারা এটিকে রাজনৈতিক শো বলেও মন্তব্য করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা কৌশলগত নয়; বরং কূটনৈতিক চাপে রাখার একটি প্রচেষ্টা মাত্র। ভবিষ্যতে যদি ইরান চায়, তবে কয়েক মাসের মধ্যেই তারা পুরোনো সক্ষমতা ফিরে পেতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি