ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা সমলয়ের প্রদর্শনীর বোরো ধান কর্তনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে দ্রুত ধান কেটে গোলায় তুলছেন তারা।
শনিবার দুপুরে উপজেলার শালীহর গ্রামে কৃষক সাইফুল ইসলামের সমলয় প্রদর্শনীর ৫০ একর জমিতে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে কৃষেকের ধান কর্তন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান প্রধান অতিথি থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এবছর উপজেলায় ২০ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।
শ্রমিক দিয়ে প্রতি কাঠা জমির বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করতে ১২৫০ টাকা খরচ হয়। আর কম্বাইন হারভেস্টারে প্রতি কাঠা জমির ধান, কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দি করতে হয় ৬০০ টাকা। এতে কৃষকের সময় ও টাকা দুটোই বাচে।
কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে( ধান রোপণের আধুনিক যন্ত্র) ৫০ একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। ধান পাকার পর কম্বাইন হারভেস্টারে দ্রুত সময়ে ধান কেটে, মাড়াই করে বস্তাবন্দি করেছি। এতে আমার অনেক টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
আরেক কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে খুব সহজেই জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই করে বস্তাবন্দি করা যায়। শুয়ে পড়া ধান ও কাদাপানির ধানও খুব সহজেই কাটা যায় এই যন্ত্রের মাধ্যমে। চার কাঠা জমির ধান অল্প সময়েই কেটে মাড়াই করে বস্তাবন্দি করে ঘরে তুলছি। শ্রমিক দিয়ে এই কাজ করলে প্রতি কাঠায় ১২৫০ টাকা খরচ হতো। কিন্তু হারভেস্টারে খরচ হয়েছে প্রতি কাঠায় ৬০০ টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। শ্রমিক সংকটের এসময়ে সমলয় পদ্ধতি একটি কার্যকরী পদ্ধতি। একই সাথে বীজতলা, চারা রোপণ ও কর্তনে শ্রমিক সংকটের সমাধান এ পদ্ধতি। এতে কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশাবাদী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারি কৃষি অফিসার সুখরন্জন দাস, সুমন চন্দ্র সরকার, মো: শরিফুল ইসলাম, মো: উবায়েদ উল্লাহ নূরী প্রমুখ।