1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন

আজ থেকে ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩

ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আজ থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় লেনদেনে ব্যবহার হবে রুপি। এতে বাংলাদেশের বছরে সাশ্রয় হবে ২০০ কোটি ডলার।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ভারতের সঙ্গে রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য কার্যক্রম উদ্বোধন হবে। দুই দেশের দুটি করে চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে হবে এ লেনদেন।

টাকা-রুপির বিনিময় হারের রেট নির্ধারণ হবে আন্তঃসীমান্ত মুদ্রার ভিত্তিতে। এতে খরচ কমবে ব্যবসায়ীদের। লেনদেন নিষ্পত্তি হবে সুইফটের মাধ্যমে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ উদ্যোগ আমদানিকারকদের ডলারের চাপ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দেবে। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে পণ্যের একটি অংশ আমদানি করতে রুপিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবেন। এভাবে শুরু হলে মার্কিন ডলারের ব্যবহার কিছুটা কমিয়ে দেওয়া যাবে।

মার্কিন ডলার ঘাটতির কারণে সরকার আমদানি বিধি কঠোর করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে আমদানি বিল পরিশোধ এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে।

আজ রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশন ভারতীয় মুদ্রায় ঋণপত্র (এলসি) খোলার ঘোষণা দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংক ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) বাংলাদেশ শাখাকে ভারতের আইসিআইসি ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি অফিস ইতোমধ্যে ভারতীয় আইসিআইসিআই ব্যাংক এবং এসবিআইর সঙ্গে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খুলেছে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক দ্রুততম সময়ে অ্যাকাউন্ট খুলবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক) উভয়ই ভারতীয় রুপিতে (আইএনআর) দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিষ্পত্তি শুরু করতে দুটি ভারতীয় ব্যাংককে অনুমতি দিয়েছে।

নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশের দায়-দেনা পরিশোধের জন্য বিদেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের পক্ষে বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রেতার এলসি মূল্য পরিশোধ করা হয়। আবার রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্সের অর্থ ওই নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে যোগ হয়।

মার্কিন ডলারের ঘাটতি থেকে উদ্ভূত বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে চলমান সংকট বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিবেশী দেশের মুদ্রা ব্যবহার করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিষ্পত্তি করতে প্ররোচিত করেছে। নতুন ব্যবস্থার ফলে ভারতের সঙ্গে ২০০ কোটি ডলারের বৈদেশিক বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানি আয়ের সমান।

গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, বাংলাদেশ রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাইছে। এটি রপ্তানি আয়ের সমপরিমাণ অর্থের। ভারত থেকে বাংলাদেশের রপ্তানির চেয়ে আমদানি অনেক বেশি। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের আমদানির বিপরীতে রপ্তানি হয় ২০০ কোটি ডলারের পণ্য।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি