1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রোজা ও পূজা নিয়ে মন্তব্য: জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নে ১৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ আটক স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্ক, নিঃর্শত ক্ষমা চাইলেন ময়মনসিংহের সেই চিকিৎসক চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা : ইসি সানাউল্লাহ কুকুরছানা হত্যা মামলায় সেই নিশির জামিন সাজসজ্জার নামে রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের জালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল কওমি মাদরাসার সনদধারীরা এখন থেকে কাজি হতে পারবেন: আসিফ নজরুল

আজ জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস

শফিকুল ইসলাম, জামালপুর
  • আপডেট : রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২

আজ ৪ ডিসেম্বর জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় এই অঞ্চলটি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় ঘেষা জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে যুদ্ধের শুরুতেই হানাদারবাহিনী গড়ে তুলে শক্তিশালী ঘাটি। মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের উপর্যুপরি আক্রমণে একাত্তরের এদিনে হানাদার বাহিনীর আত্বসমর্পণের মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। মূলত, ধানুয়া কামালপুর মুক্ত হবার মধ্য দিয়ে সূচীত হয় জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ছাড়াও দেশের উত্তর মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোসহ ঢাকা বিজয়ের পথ।

মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরের ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ থানায়। আর সীমান্তের এ পারেই ধানুয়া কামালপুরে ছিল হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাটি। রণকৌশলের দিক থেকে তাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট ধানুয়া কামালপুর ঘাটি দখল করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কামালপুর বিজয়ের লক্ষ্যে একাত্তরের ১১ নভেম্বর পাক সেনাদের শক্তিশালি ঘাটিতে আক্রমণ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এই ঘাটির হানাদারররা। ২৩ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হানাদার বাহিনীর গ্যারিসন অফিসার আহসান মালিকের নেতৃত্বে ১৬২ জন সৈন্যের একটি দল যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসর্মপণ করতে বাধ্য হয়। শত্রুমুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর ।

এখনো সেসব স্মৃতিচারণ করেন এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা। ১১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্ণেল আবু তাহের বীর উত্তম। এই সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো ২২ হাজার। ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ শহীদ হয় ১৯৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নিহত হয় ৪৯৭ জন শত্রুসেনা। যুদ্ধে আহত হয় সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবু তাহের। মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতি রয়েছে ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে। অনেকটা অবহেলায় পড়ে রয়েছে অনেক শহীদের কবর আর বধ্যভূমি।

মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আজ রবিবার বিকেলে ধানুয়া কামালপুরে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি