ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্বামীর প্রতি অভিমান করে সুফিয়া খাতুন (৩০) নামে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার বিকালে উপজেলার পাগলা থানাধীন নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে পাগলা থানা পুলিশ দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাগলা থানার পাতলাশী গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেনের স্ত্রী সুয়িয়া খাতুন দুই সন্তানের জননী ও আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁদের ঘরে ১০ বছর বয়সী এক ছেলে ও ৪ বছর বয়সী এক মেয়ে আছে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে জাকির হোসেনের সঙ্গে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের মনোমালিন্য চলছিল। সুফিয়া খাতুনের শ্বশুর-শাশুড়ি ৩/৪ দিন পূর্বে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গেছেন।
সূত্র আরো জানায়, শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে সুফিয়া খাতুন বসতঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না বেঁধে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পর জাকির হোসেন এলাকার এক ব্যক্তিকে ‘কাজ হয়ে গেছে’ বলে শ্রীপুর উপজেলার মাওনায় চলে যান। পরে প্রতিবেশীরা বিষয়টি পাগলা থানায় জানালে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সুফিয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সুফিয়ার অভিমানে দুটি প্রাণ নিভে গেল।
পাগলা থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। সম্ভবত স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে সুফিয়া খাতুন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।