1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:৫১ অপরাহ্ন

নান্দাইলে ভোট হয়েছে উন্মুক্ত!

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২

সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা নিজ আসনে বসে ব্যালট ছিড়ছেন। আর তাঁদের ঘিরে থাকা শতশত ভোটার যে যার মতো ব্যালট নিয়ে যাচ্ছেন। এ যেন ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ এর মতো। কোনো গোপন কক্ষ (বুথ) না থাকায় আশপাশে থাকা ব্যাঞ্চের ওপর রেখেই ওপেন নিজেদের পছন্দের প্রতীকে সিল মারছেন। পাশেই বসে রয়েছে নৌকার প্রার্থীর বাবাসহ আত্মীয় স্বজনরা।

আজ বুধবার সকাল থেকেই পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের নাগপুর হাটশিরা কেন্দ্রে এভাবে ভোট হতে দেখা গেছে। এখানে প্রায় ২৮শ ভোটের মধ্যে ২৭শ ভোট পড়েছে।

সরেজমিনে সকাল ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা নজরে পড়েছে। এ সময় ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. কামরুল হাসনাত মিন্টুকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। প্রার্থী ও সমর্থকদের উপস্থিতির কারণে ভোট দিতে গিয়ে বিব্রত হয়েছেন ভোটাররা। ওই কেন্দ্রে কয়েকজন তরুণকে ভোটারদের হাত থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেম্বার প্রার্থীর এক এজেন্ট বলেন, এখানে ভোটপ্রদানের কোনো গোপনীয়তা নেই। যে যার মতো ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ফেলছে।

বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলার সময় ভোটকেন্দ্রের দোতলায় অবস্থান করছিলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। জানতে চাইলে তিনি নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে ভ্রাম্যমাণ দলের একজন ম্যাজিস্ট্রেট এই কেন্দ্রে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে গেছেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গোপন কক্ষ তো নেই। এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বানানো হইছিল। মানুষের ভিড়ে পর্দা সইর‌্যা গেছে।

ভোটকেন্দ্রে আইনশঙ্খলার দায়িত্বপালন করছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) আবুদর রহিম। তাঁকে মাঝে মধ্যে বাঁশি ফুঁকে ও হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে গেছে।

খারুয়া ইউনিয়নের বিরাশি গ্রামের ভোটার আবদুল খালেক বলেন, ভোট প্রদানের জন্য ভোটারদের কোনো আড়াল রাখা হয়নি। অনেককে প্রকাশ্যেই নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা গেছে।

ভোটকেন্দ্রে এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই আবদুল কদ্দুসকে লাঞ্ছিত করেন নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তাঁকে ভোটকেন্দ্র থেকে ধরে নিয়ে পাশের একটি কর্তনকৃত ধান খেতে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত করে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি