ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মীকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহা. আহমার উজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবার হাতে এ সহায়তা তুলে দেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালির মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ। পুলিশ সুপার ওই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্বও নেন বলে জানান ওসি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসিক এক হাজার টাকায় তিন মাস আগে আসমা আক্তারের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেওয়া হয় শিশুটিকে। এরপর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে অমানবিক নির্যাতন করতেন আসমা, বোন নিটু ও ভাই সোহাগ।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নির্যাতনের সময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসমা অন্য একজনের সহায়তায় বিকেল ৫টার দিকে ওই শিশুকে তাদের বাড়ির পাশে ফেলে রেখে চলে যান। পরে বাড়ির আশপাশের লোকজন ওই শিশুকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারে বিষয়টি জানায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলবাড়িয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, মেয়ের পুরো শরীরে ব্লেডের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া গোপনাঙ্গেও ব্লেডের আঘাতের চিহ্ন আছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর রাতে নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের পানের ভিটা গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর মেয়ে আসমা আক্তার (৩৫), নিটু আক্তার (৪০) ও সোহাগ মিয়ার (৪৬) নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।