1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রোজা ও পূজা নিয়ে মন্তব্য: জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নে ১৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ আটক স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্ক, নিঃর্শত ক্ষমা চাইলেন ময়মনসিংহের সেই চিকিৎসক চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা : ইসি সানাউল্লাহ কুকুরছানা হত্যা মামলায় সেই নিশির জামিন সাজসজ্জার নামে রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের জালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল কওমি মাদরাসার সনদধারীরা এখন থেকে কাজি হতে পারবেন: আসিফ নজরুল

পাকুন্দিয়া আওয়ামী লীগ : সাংসদের করা সব কমিটি বিলুপ্ত

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা ও জেলা আওয়ামী লীগের অনুরোধ উপেক্ষা করে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাংসদ নূর মোহাম্মদের করা সব ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে তিনি যেন আর গঠনতন্ত্রবহির্ভূত কর্মকাণ্ড না করেন, সে বিষয়ে এক চিঠিতে সতর্ক করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নূর মোহাম্মদের কাছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের লেখা এই চিঠি গতকাল সোমবার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তুলে ধরা হয়। চিঠিটি ইস্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় পর্ষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের স্বাক্ষরে। স্বাক্ষর হয় গত শুক্রবার।

সাংসদের করা ইউনিয়ন কমিটিগুলো বিলুপ্ত করার কথা জানিয়ে একই দিন জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পৃথক চিঠি ইস্যু করা হয়। সাংসদের কাছে লেখা চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে।

কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া নিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসন। এ আসনে নূর মোহাম্মদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাংসদ হন। দলে তাঁর পদ নেই। তবু সংসদীয় এলাকার দুই উপজেলার সব পর্যায়ের কমিটি গঠনে তিনি বেশ তৎপর। নূর মোহাম্মদের বাড়ি কটিয়াদীতে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই প্রায় দুই যুগ। দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছে আহ্বায়ক কমিটি। আর আহ্বায়ক পদটি আগলে রেখেছিলেন এ এফ এম ওবায়দুল্লাহ। কিন্তু তাঁর হাত ধরে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়নি। বরং আওয়ামী লীগ একাধিক ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। কোন্দলের কারণে অর্ধশতাধিকবার সংঘর্ষ হয়। লাঞ্ছিত হন দলের অসংখ্য নেতা। দুবার সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েও করা যায়নি। শেষে তিনি ব্যর্থতার দায় জেলা নেতাদের ঘাড়ে চাপিয়ে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পদ থেকে সরে যান।

ওবায়দুল্লাহর পদত্যাগের পর দলের নেতৃত্ব চলে আসে যুগ্ম আহ্বায়ক মোতায়েম হোসেনের হাতে। তিনি সাংসদের অনুগত হিসেবে পরিচিত। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল সাংসদের প্রতিপক্ষ হয়ে এলাকায় রাজনীতি করেন। সম্প্রতি সাংসদের গঠিত সব কমিটির সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোতায়েম। আহ্বায়কের পদত্যাগের পর সাংগঠনিক শূন্যতার মধ্যে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির নজরে আসে। গত ২১ জুন কেন্দ্র পাকুন্দিয়ায় সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা পাঠায়। কাজ না হওয়ায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনার সূত্র ধরে চিঠি পাঠায় জেলা আওয়ামী লীগ। এরপরও থেমে যাননি সাংসদ। পাকুন্দিয়ার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে পাটুয়া ভাঙ্গা, হোসেনদি, বুরুদিয়া, এগারসিন্ধুর, জাঙ্গালিয়া, সুফিয়া ও চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন কমিটি গঠন করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে গতকাল সাংসদ নূর মোহাম্মদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি। তবে মোতায়েম হোসেন চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা জানান। তাঁর কাছে আগের নির্দেশনা উপেক্ষা করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগের চিঠির ভাষা ছিল বেশ কড়া। সেটি আমরা গ্রহণ করতে পারিনি। বিশেষ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজলের নেতিবাচক ভূমিকার কারণে আমাদের অবস্থানটা মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিল।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি