কিশোরগঞ্জের ইটনায় ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুর্জয় হাসান (২০) নামে এক যুবককে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। হামলা চালিয়ে তার মাথা ও বাম হাতের কনুইয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এ অভিযোগে ওই এলাকার ‘সাইকুল বাহিনী’র ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
শুক্রবার ইটনার বড়িবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচকাহনীয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
সাইকুল বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত দুর্জয় কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া তাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত রেজু মিয়াও (২১) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় সাইকুলসহ ১৭ জনকে আসামি করে ইটনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তবে ঘটনার এক সপ্তাহ পার হয়ে হলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে সাইকুলও বাদি হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচকাহনীয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সাইকুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে, তার নেতৃত্বে ওই বাহিনীর সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মে সক্রিয়। এর আগেও হামলা মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গেলো বোরো মৌসুমে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় এ বাহিনী।
সাইকুল বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে রয়েছে শবিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ফরজুল মিয়া, বরজু মিয়া, নজরুল ইসলাম, মিলন মিয়া, মিকাইল মিয়া, রফিকুল মিয়া প্রমুখ।
জানা যায়, শুক্রবার দুর্জয়, রেজুসহ একদল কিশোর ও যুবক বোরো ফসল কাটার পর পরিত্যক্ত একটি জমিতে ফুটবল খেলছিল। ওই সময় পারিবারিক বিরোধের জেরে সাইকুলের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। দুর্জয় হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারে বলা হয়, সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে দুর্জয়ের ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা রাম দা দিয়ে দুর্জয়ের বাম হাতের কনুইয়ে ও মাথায় আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। দুর্জয়কে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়ে রেজু মিয়াও আহত হয়। ঘটনার সময় দুর্জয়ের চিৎকার শুনে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ জামান বলেন, সাইকুলদের বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ তার কানে আসছে। তবে ওইসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেনি।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। দুপক্ষই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার করা যায়নি। তবে অভিযান চলছে।