রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসন্ত্রাস ও ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ২২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান বাবু, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিলন খান, তাওহিদুল ইসলাম অপু ও সাব্বির শেখ।
রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম জানান, গত ৩০ নভেম্বর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইনস্টিটিউটের গলিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ব্যানারে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শওকত ওসমান বাবু ও মিলন খানকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। বিগত বছরগুলোয় বিরোধী মত দমনে শওকতের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল হাজারীবাগ ও ধানমন্ডির মানুষ। সে ২০২৪ এর জুলাই আন্দোলনে এ এলাকায় ছাত্রদের ওপর সশস্ত্র হামলাকারীদের মধ্যে একজন।
মাসুদ আলম আরও জানান, সরকার পতনের পর বিদেশে পালিয়ে গেলেও কিছুদিন আগে দেশে ফিরে আসে একাধিক মামলার আসামি শওকত। দেশে ফিরেই সে বিভিন্ন নাশকতার ছক আঁকে, যার তথ্য-প্রমাণ তার কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইলে পাওয়া যায়। এরমধ্যে হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে বাসে অগ্নিসংযোগরত অবস্থায় মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওচিত্রটিও তার মোবাইলে পাওয়া যায়। এছাড়াও ককটেলসহ বিভিন্ন বিস্ফোরকের তথ্যের পাশাপাশি তার মুঠোফোন থেকে নাশকতা ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ব্যানারে মিছিলের উদ্দেশ্যে অর্থ সংগ্রহ এবং বিতরণের তথ্য-প্রমাণও মিলেছে। অভিযানে শওকতের সঙ্গে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিলন খানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রমনা জোনের ডিসি আরও জানান, গ্রেপ্তার শওকত ও মিলনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে এই চক্রের আরও ২ সক্রিয় সদস্য তাওহিদুল ইসলাম অপুকে রাজধানীর হাজারীবাগ ও সাব্বির শেখকে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ এবং জনমনে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ, ঝটিকা মিছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। এই চক্রের আরও সদস্যদের ইতোমধ্যে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।