দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী যানবাহন প্রবেশের ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করার প্রতিবাদে ট্রাক কনটেইনার পরিবহনের ট্রেইলার চালাচ্ছেন না মালিকেরা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকে পরিবহন মালিকদের এই পদক্ষেপের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে সব ধরনের ভারী যানবাহন প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বন্দর থেকে পণ্য খালাস ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন জানান, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক ধর্মঘট বা কর্মবিরতি নয়, বরং প্রাইম মুভার মালিকেরা বর্ধিত ২৩০ টাকার পাস ফি নিয়ে দ্বিধায় থাকায় গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন। তিনি বলেন, এই বাড়তি টাকা শ্রমিকেরা দেবেন নাকি মালিকেরা দেবেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে ভারী গাড়ি (প্রাইম মুভার, ট্রেইলার, লং ভেহিকেল) যখন ঢাকা বা অন্য গন্তব্যে যায়, তখন তাদের লাইন খরচ (ফি, টোল, বকশিশ) নির্দিষ্ট করা থাকে, যা তেলের দাম বাড়লে নতুন করে নির্ধারিত হয়। তিনি জানান, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে বন্দরের পরিচালকের (নিরাপত্তা) সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বন্দর চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে ফিরলে পুনরায় আলোচনার আশা করছেন।
মোহাম্মদ হোসেন নিশ্চিত করেন, ১৪ অক্টোবর রাত থেকেই তাঁদের ট্রেইলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, শনিবার থেকে অপডকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। প্রাইম মুভার মালিকদের গাড়ি চলাচল না করার কারণে ডিপোর ট্রেইলারের মাধ্যমে বন্দর থেকে কনটেইনার আনা-নেওয়ার কাজ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
এদিকে প্রাইম মুভার মালিকদের এই স্বেচ্ছায় কর্মবিরতির কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই অচলাবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে। তাই দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা ও সমন্বয় প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে করেন।