1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

ভিকটিম-সাক্ষীকে হুমকি দেওয়া বিচার বাধাগ্রস্ত করার শামিল

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

ভিকটিম, সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়া বিচার বাধাগ্রস্ত করার শামিল বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ছয় মাসের সাজার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ এসেছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) রায়ের পর্যবেক্ষণের বিষয়টি প্রসিকিউশন সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ রায়ের অনুলিপি আইজিপিকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

এর আগে গত ২ জুলাই আদালত অবমাননার মামলায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা, মামলার বাদী, সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকি দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আইনে এ সাজা দেওয়া হয়।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন– বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক চৌধুরী।

তারা আদালতে আত্মসমর্পণের পর বা তারা যে দিন গ্রেপ্তার হবেন সেদিন থেকে এ সাজা কার্যকর হবে। এই প্রথম কোনো মামলায় শেখ হাসিনাকে সাজা দিলেন বাংলাদেশের কোনো আদালত। দেশের পটপরিবর্তনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এটাই প্রথম সাজার রায়।

আদালতে শেখ হাসিনা ও শাকিলের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। অ্যামিক্যাস কিউরি হিসেবে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর তানভীর জোহা।

গত ১৯ জুন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিক্যাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

গত ৩ জুন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া আদালত অবমাননার মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। এই মামলার অপর আসামি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলম (৪০)।

‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি অডিওর বক্তব্য শেখ হাসিনার উল্লেখ করে তিনিসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত ৩০ এপ্রিল এ সংক্রান্ত শুনানিতে দুই আসামিকে ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ধার্য তারিখে তারা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। সেদিন ট্রাইব্যুনাল দুই আসামিকে সশরীরে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন। পরদিন দুটি সংবাদপত্রে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দুজনকে ৩ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি