1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব নোয়াখালীতে এক হাজারের বেশি শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল জোবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কে’র দায়িত্ব পেলেন শহীদ গণহারে বদলি আদেশের পর শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট

মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় অবিবাহিত মেয়ে, টাকা যায় মেম্বারের জামাতার মোবাইলে

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় নাম উঠেছে এক অবিবাহিত তরুণীর। অথচ ওই তরুণী নিজেই জানেন না, তাঁর নামে এমন ভাতা চালু রয়েছে। এদিকে সেই ভাতার টাকা যায় সংরক্ষিত এক নারী সদস্যের জামাতার মোবাইল নম্বরে।

অনুসন্ধানে এমনই অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্যা মোছা. নুরনাহার বেগমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর সুপারিশে ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে এক অবিবাহিত তরুণীকে গর্ভবতী দেখিয়ে ভাতার আবেদন করা হয়। এরপর তাঁর জামাতার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সেই ভাতার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। বিষয়টি উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের সাম্প্রতিক যাচাই-বাছাইয়ে ধরা পড়ে।

জানা গেছে, আংগারপাড়া ইউনিয়নের তালেব মেম্বারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের মেয়ে আক্তারিনা আক্তার বাবা-মাহারা। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এক প্রতিবন্ধী ভাইয়ের দেখভাল করেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ‘ভি ডব্লিউ বি’ কর্মসূচিতে (বিনা মূল্যে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল) নাম অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করার পর তাঁর নামে আগে থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়। মাতৃত্বকালীন ভাতার আওতায় একজন প্রসূতি মা প্রতি মাসে ৮০৫ টাকা হারে তিন বছর ভাতা পেয়ে থাকেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ওই নারীর ভাতার আবেদন করা হয়। সেখানে স্বামীর নাম দেওয়া হয় ‘পায়েল’ এবং সংযুক্ত করা হয় একটি গর্ভাবস্থার সনদপত্র। অথচ বাস্তবে তাঁর কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক বা মাতৃত্বের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া ভাতার টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও আক্তারিনার নয়। ওই নম্বরে ফোন দিলে সেটি ইউপি সদস্যা নুরনাহার বেগমের জামাতার বলে জানা যায়। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্ত্রীর নামই আক্তারিনা। তবে যাচাই করে দেখা গেছে, তাঁর স্ত্রীর প্রকৃত নাম সুরাইয়া আক্তার, আক্তারিনা নয়।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আক্তারিনা আক্তার বলেন, ‘আমি অবিবাহিত। মাতৃত্ব ভাতার বিষয়ে কিছুই জানি না। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’ অভিযুক্ত ইউপি সদস্যা মোছা. নুরনাহার বেগম মোবাইল ফোনে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। আমার মেয়ে অসহায়, তার বয়স কম হওয়ায় অন্য জনের এনআইডি দিয়ে মাতৃত্ব কার্ড করেছি।’

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা মোস্তারি জানান, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অবিবাহিত ওই তরুণীর নামে হওয়া মাতৃত্ব ভাতা বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো কামরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘দায়িত্বশীল একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এমন কাজ অপ্রত্যাশিত। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি