1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব নোয়াখালীতে এক হাজারের বেশি শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল জোবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কে’র দায়িত্ব পেলেন শহীদ গণহারে বদলি আদেশের পর শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট

দোহারে বিএনপি নেতার মৃত্যু নিশ্চিতে গুলির পর কয়েকবার কোপানো হয়: পুলিশ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫

ঢাকার দোহার উপজেলায় বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদকে (৬৫) হত্যার জন্য সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কয়েকটি গুলির পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে এমন তথ্যের কথা জানানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুটি মোটরসাইকেলে অন্তত ৫ জন যুবক এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

আজ বুধবার সকালে হারুনুর নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হলে উপজেলার বাহ্রা স্কুলের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হারুনুর রশিদ ওরফে হারুন মাস্টার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। তাঁর বাড়ি বাহ্রা গ্রামে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সকাল ৬টার দিকে ধোয়াইর বাজারের পাশে পদ্মা নদী–তীরবর্তী বাঁধের রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন হারুনুর। এ সময় তাঁর পেছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলে ৫ যুবক সেখানে আসে। মুহূর্তেই হারুনুরকে লক্ষ্য করে গুলি করে তারা। এ অবস্থায় হারুনুর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর শরীরে অন্তত তিনবার ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে দ্রুত ওই সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এদিকে হারুন মাস্টারকে গুলি করে হত্যার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ভিড় জমান। এ হত্যার বিচার ও খুনিদের খুঁজে বের করার দাবিতে তাঁরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছেন।

স্বামী হত্যার বিচার দাবি করে হারুনুর রশিদের স্ত্রী শিক্ষক নাহিদা পারভীন বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাই আমার স্বামীর জীবনে কাল হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে হারুনুরের ছোট ভাই আবদুল মান্নান বলেন, ‘আগামী ইউপি নির্বাচনে নয়াবাড়ী থেকে আমার ভাইয়ের (হারুনুর) চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া এ অঞ্চলের কিছু বালু ও মাটি ব্যবসায়ীর অন্যায় কাজকে আমার ভাই প্রশ্রয় না দেওয়ায় তাঁকে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’

কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। হারুনুরের ভাতিজা শাহিন বলেন, কে বা কারা এবং কেন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কিছুদিন ধরে নয়াবাড়ীতে বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই জেরে এ হত্যা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।

লাশটির সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী বলেন, হারুনুরের শরীরে ৪টি গুলি ও ৩টি ধারালো অস্ত্রের জখম পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে গুলির পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কোপানো হয়েছে। অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।

এমন হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, সন্ত্রাসী চক্রটিকে খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি