1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রোজা ও পূজা নিয়ে মন্তব্য: জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নে ১৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ আটক স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্ক, নিঃর্শত ক্ষমা চাইলেন ময়মনসিংহের সেই চিকিৎসক চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা : ইসি সানাউল্লাহ কুকুরছানা হত্যা মামলায় সেই নিশির জামিন সাজসজ্জার নামে রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের জালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল কওমি মাদরাসার সনদধারীরা এখন থেকে কাজি হতে পারবেন: আসিফ নজরুল

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাতিল

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। প্রধান বিচারপতিসহ বেঞ্চের চার বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এ রায় দিয়েছেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দিলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ড. ইউনূসের পক্ষে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ২৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর আপিলের অনুমতি দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি দায়ের করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

গত বছরের ১২ জুন ওই মামলায় অধ্যাপক ইউনূসসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন। এ অবস্থায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে অধ্যাপক ইউনূসসহ সাতজন হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আবেদনের ওপর গত বছরের ১১ জুলাই শুনানি শেষ হয়। পরে গত ২৪ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস।

তখন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে গেলাম। হাইকোর্ট বাতিল আবেদন খারিজ করে দিলেন। পরে আপিল বিভাগে গেলাম। আপিল বিভাগ বললেন, এ মামলা চলে না। কারণ মামলাটি প্রত্যাহার (১১ আগস্ট দুদক মামলা প্রত্যাহারে আবেদন দেন) করা হয়েছে। আমরা বললাম, না, মামলা প্রত্যাহার হয়নি। কারণ এটি অবৈধ। তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসেন। ১১ আগস্ট কোনো নোটিশ ছাড়া বিনা কারণে মামলা বাদ দিলেন।

তিনি বলেন, এটি বাদ দেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই, আমরা তা আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হলাম। পরে আবেদনের শুনানিতে বললাম, অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। শ্রমিকের টাকা শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে বিতরণ হয়েছে। এটি তো কোম্পানির টাকা নয়। এখানে তাকে মিথ্যাভাবে হয়রানির জন্য, অপমান করার জন্য মামলাটা করা হয়েছে।

‘আর অধ্যাপক ইউনূসও বলেছেন- প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরপরই মামলাটা প্রত্যাহার হয়ে গেল! আমার আইনজীবীও জানে না, প্রতিষ্ঠানও জানে না। আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব। যদি দোষী প্রমাণিত হই, তাহলে সাজা মেনে নেব। আইনের মাধ্যমে সমাধান করব’- উল্লেখ করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি