নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ও সেনবাগ উপজেলায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। এ সময় এক যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে হাতিয়ায় সন্ত্রাসীরা যৌথ বাহিনীর ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে।
গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—সেনবাগ উপজেলা যুবলীগের সদস্য দিদারুল ইসলাম দিদার, হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের নবীর উদ্দিন ও ইমাম হোসেন। অভিযানে জব্দ করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিনসহ ১ রাউন্ড গুলি, তিনটি একনলা বন্দুক, ৮টি কার্তুজ, ২০টি ককটেল, দুটি ডেগার, তুনটি ক্রিজ ও একটি তলোয়ার।
হাতিয়া নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আফসার উদ্দিন আহমেদ জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের মতো হাতিয়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে চরকিং ইউনিয়নে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। সোমবার রাত ১১টার দিকে যৌথ বাহিনীর দলটি চরকিং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কলেজ রোডের হাজী আব্দুল বাসার মার্কেট এলাকার কাউসার মিয়ার ব্রিকফিল্ডের সামনে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
কমান্ডার জানান, সন্ত্রাসীদের ককটেল নিক্ষেপে আত্মরক্ষার্থে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে সন্ত্রাসীরা পিছু হাঁটতে শুরু করলে যৌথ বাহিনী তাদের ধাওয়া করে নবীর উদ্দিন ও ইমাম হোসেন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়েছে।
কমান্ডার আরও জানান, এ সময় ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, মাদক ও চাঁদাবাজির ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাতিয়ায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে সোমবার রাতে জেলা শহর মাইজদীতে অভিযান চালিয়ে সেনবাগ উপজেলা যুবলীগের সদস্য দিদারুল ইসলাম দিদারকে আটক করা হয়েছে।