শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ময়মনসিংহের সদস্য সচিব অ্যাডডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ আজাদ বাদী হয়ে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করেছিলেন। দীর্ঘ তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া না যাওয়ায় পুলিশ কর্তৃক চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে বুধবার ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল সকল আসামীদের অব্যাহতির আদেশ প্রচার করেছেন।
এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন যে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি ১ নং আসামী অ্যাডভোকেট নুরুল হক এর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামী এডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী,এডভোকেট মাহবুবর রশীদ তামান্না, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, এডভোকেট শামসুন্নাহার, এডভোকেট জহিরুল ইসলাম নিজুম, এডভোকেট আরিফুল ইসলাম সোহাগ, এডভোকেট রাইসুর ইসলাম, এডভোকেট আহসান উল্লাহ আনার, এডভোকেট উসমান গনি মল্লিক মাখন ও এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন বিগত ২/৯/২১ তারিখ জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য রাখেন, যাতে ক্ষুদ্ধ হয়ে বাদী বিগত ১৪/৯/২১ তারিখে কোতোয়ালী থানায় এজাহার দাখিল করেন। উক্ত মোকদ্দমায় এডভোকেট উসমান গনি মল্লিক মাখন ও এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন দীর্ঘ ২ মাসের অধিক সময় কারাভোগ করেন। দীর্ঘ তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া না যাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এই মামলার।
বুধবার বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক রুনা নাহিদ আক্তার আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন গ্রহণপূর্বক মামলার দায় হতে আসামিদেরকে খালাস প্রদান করেন। আদালতের পেশকার অব্যাহতির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল হক বলেন, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্বেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা, একটি রাজনৈতিক স্লোগান কে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির ১৫০ বছরের দীর্ঘ ঐতিহ্য কে বিনষ্ট করে একটি মহল এই মামলাটি করেছিলো, এই মিথ্যা মামলায় আমাদের ২ সহযোদ্ধা দীর্ঘ দুই মাসের অধিক সময় কারাভোগ করেছেন। আজকে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে।