1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বারবার হুমকি পেয়েও আরশওয়ালার কাছে হাসিমুখে শহীদি মৃত্যু চেয়েছিলেন হাদি ‘অপমানিত বোধ করছেন’ রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, নির্বাচনের পর পদত্যাগ করতে চান ৩২ ঘণ্টা পর গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে পরীক্ষা বন্ধ-বিদ্যালয়ে তালা : জড়িতদের বিরুদ্ধে আসছে কঠোর ব্যবস্থা তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করছেন সিইসি ঢাবির সাবেক উপাচার্য মাকসুদ কামালসহ প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসনে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বিচার হবে ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক আগের দায়িত্বে ফিরলেন

সংবিধান কারো বাপের না : হাসনাত আব্দুল্লাহ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫

সংবিধান কারো বাপের না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রনয়ন কমিটি পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর ম্যান্ডেট নিয়ে ভোট পেয়েছিলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আজ বুধবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে হাসনাত লিখেছেন, ‘সংবিধান কারো বাপের না। বংশগত আর রক্তের বড়াই দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের যে অসম সুবিধা দেওয়া হত, আজকাল সংবিধান কমিটির সদস্যদের সন্তানদের সেরকম অসমভাবে মুজিববাদী সংবিধানের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, যে কমিটি এই ৭২’এর সংবিধান করেছে, সে কমিটি পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর ম্যান্ডেট নিয়ে তারা ভোট পেয়েছিলেন। না মানে মনে করাই দিলাম।

ওই পোস্টের সঙ্গে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। সেখানে লেখা আছে, বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘কবর দেওয়ার’ কথা গ্রহণযোগ্য নয়। ১৯৭২ সালের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য সন্তানদের বিবৃতি। ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি সংবাদের শিরোনাম। গতকাল মঙ্গলবার দেশের একাধিক গণমাধ্যমে এই শিরোমানের সংবাদ প্রকাশ হয়।

গত শনিবার এক বিবৃতিতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সন্তানেরা জানিয়েছেন, বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘ছুড়ে ফেলে দেওয়া’ বা ‘কবর দেওয়া’র মতো কথা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কথা মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সর্বোপরি দেশের জনসাধারণকে অবজ্ঞা করার শামিল। বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনিও একই ভাষায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বরের ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ কর্মসূচি ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রাজধানীর বাংলামোটরের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছিলেন, ‘আগামী ৩১ ডিসেম্বর নাৎসি বাহিনীর সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা ও মুজিববাদী ৭২ এর সংবিধানকে কবর দেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছিলেন, ‘দেশের মানুষ যারা অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তাদের আশা–আকাঙ্ক্ষা কী ছিল সেগুলো লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ থাকা উচিত। যেই দলিল বিগত সিস্টেমকে রিজেক্ট করবে। বিগত যেই সিস্টেমগুলোকে মানুষ গ্রহণ করেনি সেগুলোই ঘোষণাপত্রে তুলে ধরা হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি