1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বারবার হুমকি পেয়েও আরশওয়ালার কাছে হাসিমুখে শহীদি মৃত্যু চেয়েছিলেন হাদি ‘অপমানিত বোধ করছেন’ রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, নির্বাচনের পর পদত্যাগ করতে চান ৩২ ঘণ্টা পর গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে পরীক্ষা বন্ধ-বিদ্যালয়ে তালা : জড়িতদের বিরুদ্ধে আসছে কঠোর ব্যবস্থা তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করছেন সিইসি ঢাবির সাবেক উপাচার্য মাকসুদ কামালসহ প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসনে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বিচার হবে ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক আগের দায়িত্বে ফিরলেন

জুলাই গণহত্যার বিচারে ‘ধীরগতি’ কেন, ব্যাখ্যা করলেন আইন উপদেষ্টা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

গণ-অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-খুন ও জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিচারে ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে আজ শনিবার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে বিষয়টি উঠে আসে। ভুক্তভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি যখন সরকারে ছিলাম না, তখন আমিও বলতাম, এটা হচ্ছে না কেন, ওটা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নগুলো থাকা উচিত। থাকলে আমরা উত্তরটা পাই। আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে এই গণহত্যার বিচার করা। কিন্তু বিচারটা করার সময় আমাকে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় করতে হবে।’

আজ শনিবার খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তাঁর আগে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ বিষয়ে কথা বলেন।

এর আগে গুমের শিকার তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের নেতা কাজী সাইফুল অভিযোগ করেন, গুম ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের অধিকাংশই এখনো বহাল তবিয়তে। বড়জোর বদলি করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্যাতনকারী কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ সময় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘ছাত্রদলের ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। কাউন্টার টেররিজম ছিল ছাত্রলীগের একটা ইউনিট। আর কত সময় গেলে তাদের বিরুদ্ধে ন্যূনতম ডিপার্টমেন্টাল ব্যবস্থা নেবেন? শুধু ট্রাইব্যুনালের জন্য তো বসে থাকলে হবে না। এর আগের প্রক্রিয়ায় তো দৃশ্যমান অগ্রগতি নাই।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘সবার মনে হতে পারে বিচারটা এত দেরি হচ্ছে কেন? আমি আমার চিফ প্রসিকিউটরকে বললাম, বিচার দেরি হচ্ছে কেন? তাজুল (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম) আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলছে, কোথায় দেরি হচ্ছে? আমি বললাম, শুনানির জন্য যে এক মাস সময় দিল? এখানে তো তিন মাস সময় দেওয়ার কথা, এর আগে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যে বিচার হচ্ছিল, সেখানে তো তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। সেখানে এক মাস দিয়েছি।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকে দেখি বলে, যাদের হাজির করা হচ্ছে তাদের হাতে হাতকড়া নেই, হাসিখুশি মুখে হাজির হচ্ছে। তখন তাজুল আমাকে বলে, জামায়াতে ইসলামীর নেতাদেরও কারও হাতকড়া পরানো হয়নি। সে-ই তো জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের আইনজীবী ছিল। অনেক জিনিস আমাদের স্মরণে থাকে না, আমরা ইম্পেশেন্ট (অধৈর্য) হয়ে যাই। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।’

ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে দুই বছর সময় লেগেছিল—জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দের এমন কথার জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছুই রেডি ছিল না। বিচার যে ভবনে হবে, সেই ভবন রেডি ছিল না, বিচারক ছিল না, প্রসিকিউটর টিম ছিল না, ইনভেস্টিগেশন টিম রেডি ছিল না, শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে। আমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রসিকিউটর টিম করা হয়েছে। এর চেয়ে দ্রুত কি করা যায়? সাত দিনের মধ্যে বলেছিলাম, জুলাই-আগস্টের মিথ্যা মামলা সাত দিনের মধ্যে উইথড্র করা হবে। সেখানে ১০ দিন লেগেছে।’

ত্রুটিহীন বিচার প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রচুর টাকা আছে, লবিং ক্যাপাসিটি আছে, শত্রুভাবাপন্ন দেশ আছে। তাই এমনভাবে বিচার করতে হবে, যা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন উঠতে না পারে। প্রশ্ন তারা তুলবেই। কিন্তু প্রশ্নটা যেন কোনোভাবে যৌক্তিক না হয় সেই চেষ্টাটা করতে হবে। আমাদের ডিউ প্রসেস (সঠিক প্রক্রিয়া) রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যে প্রসিকিউটর টিম আছে, ইনভেস্টিগেশন টিম আছে, সেখানে আমার আস্থা আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারাক্ষণ আমার মনে হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তিনটা লক্ষ্য আছে—বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। বিচারটা মূলত আমাদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, এখানে কোনো রকম কোনো গাফিলতি হচ্ছে না, হবে না।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি