1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন

শেরপুরের ৩ টি আসনে কাজ করছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি

মোঃ নাইমুর রহমান, শেরপুর
  • আপডেট : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে সারাদেশে সংসদীয় আসন ভিত্তিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে ৩শ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কাজ করছে। প্রতিটি আসনে একজন করে বিচারক ওই নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজক রয়েছেন। তারা প্রাপ্ত তথ্য বা দাখিলকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে বা স্বীয় উদ্যোগে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়সমূহ বা ঘটনাসমূহ অনুসন্ধানের কাজ করছেন। তবে ৪ ডিসেম্বর সোমবার পর্যন্ত শেরপুরের ৩টি নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোন অপরাধ ওই কমিটির হাতে শনাক্ত হয়নি।

এদিকে শেরপুরের ৩টি আসনে ওই নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা বিচার বিভাগের ৩ জন বিচারক। তাদের মধ্যে শেরপুর-১ (সদর) আসনে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মাহবুব আলী মুয়াদ, শেরপুর-২ (নকলা ও নালিতাবাড়ী) আসনে সদর সিনিয়র সহকারী জজ কামরুল হাসান ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতি ) আসনে নালিতাবাড়ী সিনিয়র সহকারী জজ নুরুল আমিন ভূইয়া স্ব-স্ব এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন। এছাড়া ওই ৩ বিচারকের আদালতসমূহে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সমূহের অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের গত ২৩ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারীর তারিখ হতে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সূত্র জানিয়েছে, শেরপুর জেলায় নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্তে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি বরাবর অভিযোগ দাখিলের জন্য জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজের আদালত প্রাঙ্গণ এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে স্থাপিত অভিযোগ বাক্স অথবা ০১৭৭২৪৫১৮৫২ (শেরপুর-১), ০১৭৭৮৪২১৮৮৮ (শেরপুর-২) ও ০১৬৮৪০৭২৩৬৩ (শেরপুর-৩) নম্বরসমূহ ব্যবহার করা যাবে।

সূত্র আরও জানায়, প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার জন্য গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সমূহের চেয়ারম্যানগন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১ক অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে এমন নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্তে অনুসন্ধান করে তৎসংক্রান্তে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের করণীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব বা সুপারিশসহ অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন। এমনকি নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ ও ঘটনা নির্বাচন কমিশন/রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসার/নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক কমিটির নিকট প্রেরিত হলে ওই কমিটি তা অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন কমিশনের নিকট প্রেরণ করবে।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি যে কোন ব্যক্তিকে কমিটির সম্মুখে হাজির হতে ও শপথ পূর্বক সাক্ষ্য প্রদানে এবং কমিটির নিকট প্রয়োজনীয় দলিল বা বস্তু দাখিল করতে দেওয়ানী আদালতের ন্যায় ক্ষমতাবান হবেন এবং ওই কমিটির কার্যক্রম বিচারিক কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি