1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব নোয়াখালীতে এক হাজারের বেশি শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল জোবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কে’র দায়িত্ব পেলেন শহীদ গণহারে বদলি আদেশের পর শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট

ওদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাব, দু’একটাকে চুবানি খাওয়াতে হবে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২২ জুন, ২০২২

পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা বিরোধিতা করেছেন ও বিভিন্ন নেতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাবো পদ্মা সেতুতে। দু’একটাকে চুবানি খাওয়াতে হবে।

বুধবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করলেও বাংলাদেশের নামে বরাদ্দকৃত টাকা তারা ফেরত নিতে পারেনি। বিশ্বব্যাংক কোনো অনুদান দেয় না। আমরা লোন নেই। যে টাকা বাংলাদেশের নামে স্যাংশন হবে সেটা নষ্ট করার কোনো রাইট তাদের নেই। পদ্মা সেতু থেকে টাকা তারা বন্ধ করছে কিন্তু ওই টাকা আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। এই টাকা আমরা অন্যান্য প্রজেক্টে ব্যবহার করেছি।

বিশ্বব্যাংক কোনো দেশের একটি প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দিলে দেশটি চাইলে অন্য প্রকল্পে ব্যবহার করতে পারে, এমনটি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কিন্তু করা যায়। তা কিন্তু অনেকে জানেন না। জানিনা কেন জানেন না। আমাদের যারা অর্থনীতিবিদ- যারা কাজ করে তারা কেন মাথায় রাখে না। এরা (বিশ্বব্যাংক) দাতা নয়। আমরা তাদের থেকে ভিক্ষা নেই না। ব্যাংকের একটি অংশীদার হিসেবে আমরা লোন নেই এবং ‍সুদসহ সেই লোন পরিশোধ করি। কাজেই আমার নামে, বাংলাদেশের নামে যে টাকা হবে সেই টাকা তাকে (বিশ্বব্যাংক) দিতে হবে, সে বাধ্য। এ টাকা কোনদিন… কাজেই একটা প্রজেক্টের টাকা বন্ধ হয়ে গেলে ওমনি টাকা নিয়ে চলে যাবে সেটা কিন্তু যেতে পারে না। জ্ঞানীগুণীরা বলেন টাকা বন্ধ হয়ে গেছে। কিসের জন্য? আমরা তো লোন নিচ্ছি। যে লোন বাংলাদেশের নামে স্যাংশন হবে সেই লোন কোন না কোনভাবে তাকে দিতে হবে। এটা না দিয়ে পারে?

তিনি বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ওই দাতা-দাতা কথাটি বন্ধ করেদিলাম। আমি বলেছি কিসের দাতা। এরা তো উন্নয়ন সহযোগী। আমি লোন নিই। সেই লোন সুদসহ পরিশোধ করি। এটা ঠিক যে সুদের হার কম। কিন্তু সুদসহ তো টাকা আমরা পরিশোধ করছি। আমরা তো ভিক্ষা নিচ্ছি না।

গণমাধ্যমেরও এ বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কিন্তু কারও থেকে ভিক্ষা নেই না, ঋণ নেই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করি। এটুকু সুবিধা স্বল্প সুদে। আমাদের কেউ করুণা করে না। আমরা কারও করুণা ভিক্ষা নেইনি। এরকম অনেক প্রজেক্ট। আমাকে অফিসার বুঝাচ্ছে- এই ডেট ফেল হলে ওই টাকা ল্যাফস হয়ে যাবে। কিন্তু আমি তো বলেছি নো। এই টাকা তো ল্যাফস হওয়ার কথা নয়। আমি এই প্রজেক্ট সাপোর্ট করতে পারি না। প্রজেক্ট আমি করবো না- কারণ যে কাজ করার কথা ছিল সে কাজ আমি করবো না। আমি তো করিনি। আমি বাতিল করে দিয়েছি। বাতিল করে পরবর্তী সময়ে অন্যভাবে সেই টাকা দিয়ে কাজ করেছি। একনেক মিটিংয়ে আমি চেয়ার (চেয়ারপারসন) করি। আমাকে ওটা বুঝিয়ে হয় না।

তিনি বলেন, একসময় আমরা কনসোর্টিয়ামের মিটিংয়ে প্যারিসে যেতাম। আমি বললাম প্রত্যেকদিন আমরা যাবো কেন? ওরা এসে এখানে টাকা দিয়ে যাবে। আমি শুরু করলাম। আমরা ঢাকায় মিটিং করেছি। এই টেকনিক্যাল জিনিসগুলো জানা দরকার। আমাদের জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

পদ্মা সেতু ইস্যুতে বিশ্বব্যাংক বা বিরোধিতাকারীরা দুঃখ প্রকাশ করেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমার কথা হলো নিজের ভাড় ভালো না, গোয়ালার ঘির দোষ দিলে লাভ কী? বিশ্বব্যাংককে আমি কী দোষ দেবো। তারা বন্ধ করলো কাদের প্ররোচনায়। সেটা তো আমাদের দেশেরই কিছু মানুষের প্ররোচনায় তারা বন্ধ করেছিল। এটাই তো বাস্তবতা। আর যারা বিভিন্ন কথা বলেছেন তাদের কিছু কথা আমি উঠালাম। কথা আরও আছে। সেখানে আমার তো কিছু বলার দরকর নেই। এটা তারা নিজেরাই বুঝতে পারবে যদি তাদের অনুশোচনা থাকে। আর না থাকলে আমার কিছু বলার নেই। আমার কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।

তিনি বলেন, বরং আমি ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই এজন্যই যে, এ ঘটনা ঘটেছিল বলেই আমি সাহস নিয়ে নিজেদের টাকায় নিজেরা পদ্মা সেতু করার ফলে আজ বাংলাদেশের সম্মান ফিরে এসেছে। নইলে আমাদের দেশের বিষয়ে সবার একটা পারসেপশন ছিল। একটা মানসিকতা ছিল যে আমরা অন্যের অর্থায়ন ছাড়া কিছুই করতে পারবো না। এই যে পরনির্ভরশীলতা, পুরমুখাপেক্ষিতা আমাদের মধ্যে ছিল। একটা দৈন্যতা ছিল। বিশ্বব্যাংক যখন টাকাটা তুলে নিয়ে গেল অনন্ত আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। সেই অচলায়তন ভেঙে আমরা একটা আত্মমর্যাদাশীল- আমরা যে পারি সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি। এতেই আমরা খুশি। এর বেশি নয়। আর যারা যারা এগুলো বলেছে, বিরোধিতা করেছে। তারা বুঝতেছে। আমরা ওদের দাওয়াত দিচ্ছি। ওদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাবো পদ্মা সেতুতে। দু’একটাকে চুবানি খাওয়াতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি