জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপজেলার ‘চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতা–কর্মীরা আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ইসলামপুর-চরগোয়ালিনী পাকা সড়কের মৌল্লাপাড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। অবরোধ চলাকালে দলীয় কর্মীরা চরগোয়ালিনী ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ঘোষিত প্রার্থী মো. শহিদুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল করে ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলের সভাপতি শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পাশাপাশি একটি মানববন্ধনও হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. কালু বাঘা, ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলুফা বেগম, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. খোরশেদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াজল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. এস এম ফয়জুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে সব সময় ‘মাতাল, মাতাল’ মনে হয়। তিনি ভালো ভাবে কথাও বলতে পারেন না। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ইউনিয়নের দুর্যোগ সহনীয় গৃহনির্মাণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এবং দুটি ঘর তাঁর আপন ভাতিজার নামে বরাদ্দ নিয়ে তাঁর বাড়িতেই নির্মাণ করেন। এ ঘটনায় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ১২ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগ ওই চেয়ারম্যানকে কেন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশ করেছিল। বিষয়টি ঝুলন্ত অবস্থায় ইউপি নির্বাচন শুরু হয়ে যায়। এই ধরনের একজন দুর্নীতিবাজকে ইউনিয়নবাসী মেনে নেবে না।

ফলে কেন্দ্র ঘোষিত প্রার্থী মো. শহিদুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল করে মনোনয়ন প্রত্যাশী ত্যাগী নেতাদের মধ্যে যেকোনো একজনকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করা হয়। এই বিষয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও স্থানী সাংসদ ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।